WordPrese Support Engineer || Technical Support Engineer

WordPrese Support Engineer || Technical Support Engineer

এই রোল টা বা জব টা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো খুব ভালোভাবে জানে না! একজন WordPrees ডেভেলপার এর পূর্বের রোল ও বলা যায় এটাকে!

-* WordPress কি?

    • কাস্টমাইজেশন কি?
    • কি, কি জানা লাগবে?
    • কিভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি?
    • যেহেতু সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার ইংরেজি কতটুকু জানা লাগবে?
    • কি, কি দায়িত্ব নিতে হবে!
    • এই রোলের সুবিধা কি?
    • অসুবিধা কি?
    • জব অপুরচুনিটি কেমন?
    • এই স্কিল দিয়ে কি ফ্রি-ল্যান্সিং করা যায়?

বিভিন্ন প্রশ্ন হয়তো ইতোমধ্যে মাথায় ঘুরপার খাচ্ছে রাইট?

চলুন আজকে একদম বিসমিল্লাহ বলে শুরু থেকে একজন জুনিয়র টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জব পাওয়া পর্যন্ত ডিটেইলস জেনে নেই!

প্রথমেই আসি এই টেকনিক্যাল ফিল্ডের প্রথম শব্দ টাই শুরু হয়েছে WordPress দিয়ে সুতরাং সেটা সম্পর্কে তো একটা ভালো ধারনা প্রয়োজন সেটা কি? কিভাবে ব্যাবহার করতে হয় নানা প্রশ্ন হয়তো এটা নিয়েই হচ্ছে।

WordPress কি?

=> WordPress হলো একটা Content Management System বা(CMS). এটা একটা ওপেন সোর্স প্রজেক্ট এবং এটার বিশাল বড় একটা কমিউনিটি আছে সারাবিশ্বে! এবং বর্তমানে সারাবিশ্বে ৪০% এর ও বেশি Website WordPress দিয়ে তৈরি। কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর মেইন কাজ ই হলো বিভিন্ন ব্লগ, ম্যাগাজিন, নিউজ টাইপের সাইট গুলোর কন্টেন্ট গুলো খুব ভালো ভাবে ম্যানেজ করা!

তবে এখানেই থেমে থাকেনি WordPress! এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইকমার্স, হোটেল ম্যানেজমেন্ট বড়, বড় প্রজেক্ট এমন কি নাসার কোন একটি Website ও WordPress দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

এটা ডেভেলপ করা হয়েছে PHP Language দিয়ে। এখন অনেকেই Framework এর কথা বলবেন যে শুনেছি লারাভেল ও নাকি PHP দিয়ে তৈরি জী আপনি ঠিক ই ধরেছেন তবে এখানে একটা ব্যাপার হলো Framework & CMS ২ টা আলাদা ব্যাপার ২ টা আলাদা প্ল্যাটফর্ম। আরো বিস্তারিত জানতে [একটু গুগল করবেন, লারাভেল এবং WordPress এর মধ্যে পার্থক্য কি?]।

What is WordPress Theme Customization ?

=>এবার আসুন কাস্টমাইজেশন কি সেটা সম্পর্কে একটু অল্পপরিসরে জেনে আসি!

WordPress এ কোন সাইট তৈরি করতে হলে মূলত আপনাকে থিম এর সাহায্যেই তৈরি করতে হবে। এই থিম আপনি কাস্টম ভাবে তৈরি করতে পারেন যদি আপনি ডেভেলপার হয়ে থাকেন।তবে থিম সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকলে আপনি আপনার Desired functionality পেয়ে যাবেন থিম এবং প্লাগিন এর সাহায্যে!

এবং ডিফল্ট ডেমো যে সাইট টা থাকবে সেটাই রিয়েল ইনফরমেশন দিয়ে তৈরি করাই মূলত এখানে কাস্টমাইজেশন! তবে এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে সেটা হলো পেইজবিল্ডার!

এই আধুনিক থিম গুলো আবার তৈরি হচ্ছে এখন বিভিন্ন রকম পপুলার পেইজবিল্ডার দিয়ে!
এই যেমনঃ এলিমেন্টর!
এবার আশা করি আপনার মোটামুটি একটা ধারনা এসেছে!

এবার আসুন, পুরোপুরি ভাবে এই জব টা করতে আপনার কি, কি জানা প্রয়োজন?

WordPress Support Engineer যেহেতু টাইটেল সেহেতু WordPress সম্পর্কে আপনার ধারনা টা ডিটেইলস থাকতে হবে!
WordPress এর ব্যাকেন্ডের বিভিন্ন সেটিংস, থিম সেটাপ, প্লাগিন সেটাপ, সিকিউরিটি কনসার্ন হতে হবে।

ব্যাসিক, HTML, CSS, [Javascript, PHP Programming Language ] শেখা লাগবে এবং ব্রাউজারে কিভাবে জাভাস্ক্রিপ্ট কোড গুলো রেন্ডার করে, ব্রাউজারের বিভিন্ন ডিবাগিং সেটিংস, ডেভেলপার টুলস সম্পর্কে জানতে হবে!

অভিনন্দন, আপনি WP Support Engineer Role এ অনেক দূর এগিয়ে গেছেন।

এই রোল টা যেহেতু টেকনিক্যাল ফিল্ডের সেহেতু আপনাকে টেকনিক্যাল ফিল্ডে ভালো ধারনা থাকা লাগবে আর তার জন্য ডিবাগিং জানা টা আপনার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ!

আচ্ছা! ডিবাগিং শব্দ টা হয়তো আপনার কাছে আনকমন লাগতে পারে বাগ কি আর ডিবাগ কি?

  • বাগ হলো প্রোগ্রামিং রান করার সময় বা Website রান করার সময় বিভিন্ন ধরনের যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে তাকেই বলে।
  • ডি-বাগ হলো! এই যে আপনি এই সমস্যা গুলোর সমাধান করছেন এটাকেই বলা হয় ডিবাগ!

এ পর্যায়ে আপনি, WordPress শিখেছেন, কাস্টমাইজেশন করে website তৈরি শিখেছেন, ব্যাসিক HTML, Css, Js, Php শিখেছেন, এর বিভিন্ন সিন্ট্যাক্স সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন।

এবার আসুন, যে কোন একটা পেইজবিল্ডার হতে পারে সেটা এলিমেন্টর, ডিভি, যেটার উইজেড ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে কারন এই পর্যায়ে আপনি ডেভেলপমেন্ট এর আসল স্বাদ এবং সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার এর প্রথম ধাপে পা দিলেন!

এখনো হয়তো আপনি কনফিউজড যে আসলেই আপনার রেসপনসেবলিটি কি এই রোলে! আপনাকে কি, কি দায়িত্ব পালন করতে হবে!

এবার আপনি যেহেতু ব্যাসিক ডেভেলপমেন্ট এর সম্পর্কে জেনেছেন, কিভাবে প্লাগিনের একটা উইজেড ডেভেলপমেন্ট করতে হয়! তার মানে আপনি প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট এর গন্ধ পাওয়া শুরু করেছেন!

আপনি থিম ডেভেলপমেন্ট এর একটা ফিল পাচ্ছেন!
যে পূর্বে আপনি যেটা সম্পর্কে শুনলেন সেটাই আপনি এখন এক্সপেরিয়েন্স করতেছেন।

    • যেহেতু আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে কাজ করবেন, আপনার ডিল করতে হবে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্ট কে, আপনার কমিউনিকেশন ল্যাংগুয়েজ হলো ইংরেজি সেহেতু আপনার এটা অতীব বাধ্যতামূলক! এই রোলের সব থেকে ক্রুশল পার্ট টাই হলো এই কমিউনিকেশন!
    • আপনাকে ক্লায়েন্টদের সাথে মিশে যেতে হবে, যেহেতু আপনার কমিউনিকেশন মাধ্যম হবে ই-মেইল সুতরাং আপনার রাইটিং স্কিল থাকা টা বাধ্যতামূলক! ক্লায়েন্ট এর কথার টোন বুঝতে হবে! অনেক দেশের ক্লায়েন্ট ইংরেজি কম বুঝে সুতরাং ভাংগা, ভাংগা ইংরেজি গুলো আপনাকে জোড়া দিয়ে সোজা করে বুঝতে হবে আসলেই ক্লায়েন্ট এখানে কি বোঝাতে চাচ্ছে!
    • এছাড়াও, লাইভ চ্যাট, এবং ওভার দ্যা কলেও আপনাকে ক্লায়েন্ট দের সাপোর্ট দেওয়া লাগবে সুতরাং সেটার প্রিপারেশনে ও আপনাকে নেওয়া লাগবে।
    • ক্লায়েন্টদের সমস্যা গুলো যদি তার প্রথম ইমেইলে না বুঝতে পারেন সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ই-মেইল টা আপনাকে এমনভাবে দিতে হবে যে আপনি তাকে সাহায্য করার জন্য উদগ্রিব তবে এখানে আপনার ক্লায়েন্ট এর থেকে একটু হেল্প লাগবে সেটা হতে পারে কি সমস্যা হচ্ছে সেটার স্ক্রিনশট, স্ক্রিন রেকর্ডিং ভিডিও!
    • ক্লায়েন্ট আপনাকে সুন্দর ভাবে সমস্যা গুলো বুঝিয়ে দিলো এবার আপনার কাজ হবে সেই সমস্যা গুলো রি-ক্রিয়েট করা আপনার এন-ভাইরনমেন্টে! এবং এক্ষেত্রে আপনি যদি মনে করেন না এটা ব্যাসিক কোন ইস্যু না, আপনার ডেভেলপমেন্ট টিমের সাহায্য লাগবে! আপনার আরো ডিটেইলস জানিয়ে ক্লায়েন্ট কে একটা ইমেইল করতে হবে! তবে এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আপনার end থেকে কোন স্ক্রিনশট কিংবা স্ক্রিন রেকর্ডিং ভিডিও যুক্ত করা! আপনি যে আসলেই এয়া নিয়ে কাজ করছেন ক্লায়েন্ট সেটা জানতে পেরে খুশি হবে!
    • এরপর যদি আপিনি ক্রেডেনশিয়াল পেয়ে যান এবার আপনার লগিন ডিটেইলস ঠিক আছে কি না সেটা চেক করে ক্লায়েন্ট কে জানাতে হবে! যদি ঠিক না থাকে তাহলে আবারো স্ক্রিনশট দিয়ে ক্লায়েন্ট কে দেখাতে হবে যে সঠিক ক্রেডেনশিয়াল না! এবং তাকে রিকোয়েস্ট করবেন যে চেক করে দেই।
    • ব্যাস আপনি লগিন ক্রেডেনশিয়াল পেয়ে গেছেন এখন আপনার কাজ হবে ক্লায়েন্টের সাইটে প্রবেশ করে এক্সাট সমস্যা টা Identify করা! তবে!!! এখানে একটা! Warning!!! ব্যাপার আছে সেটা হলো কখোনই ক্লায়েন্টের লাইভ সাইটে টেস্ট বা ডিবাগ করতে যাবেন না! এতে করে আপনার আম ও যাবে ছালা ও যাবে! অবশ্যই প্রথমে আপনি সাইটের একটা ব্যাকাপ নিয়ে রাখবেন এবং পরবর্তীতে সেটা আপনার স্টাজিং Website এ Import করে টেস্ট করবেন!(বিঃদ্রঃ- এটা একটা লাইফ হ্যাক! :stuck_out_tongue:)
    • ব্যাস যদি আপনি আপনার দিকে সমস্যা খুজে পান প্রথম ইনভেস্টিগেশনেই তাহলে খুবই ভালো সমস্যা যদি আপনার দিক থেকেই সমাধান হয়ে থাকে ক্লায়েন্ট কে সুন্দর ভাবে আবারো স্ক্রিনশট কিংবা স্ক্রিন রেকর্ডিং করে পাঠাবেন!
    • যদি সমস্যার সমাধান না হয়ে থাকে তবে এবার আপনার কাজ আপনার ডেভেলপমেন্ট টিমের সাহায্য নেওয়া এবং এক্ষেত্রেও আপনার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আপনার ডেভেলপমেন্ট টিম কে ইস্যু গুলো সুন্দর ভাবে বোঝানো যাতে করে আপনার ডেভেলপার আপনাকে সাহায্য করতে পারে! অনেক সময় ডেভেলপারদের বোঝানোর পরেও আপনি হয়তো সল্যুশনস টা পাচ্ছেন না! এক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে ডেভেলপারদের ফলো আপ করা এবং মনে করিয়ে দেওয়া! কারন অনেক সময় আপনার ডেভেলপার কাজের প্রেশারে ভুলে যেতে পারে!
    • এরই মধ্যে আপনার আরেকটা কাজ হবে ক্লায়েন্টদের কে ফলোআপ করা এবং আপনার দিক থেকে সমস্যা গুলোর বিস্তারিত বলে কতদিন সময় লাগবে সেটা বলে রাখা এবং নিয়মিত ভাবে ফলোআপ করা! যাতে করে ক্লায়েন্ট ট্রিগার না হয়ে যায়! নিচ্শই আপনি টাকা দিয়ে সমস্যা কিনতে চান না! ঠিক তেমন ই সমস্যা নিয়ে বসবাস করতেও ভালবাসেন না! এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট ও সেইম! সুতরাং ক্লায়েন্ট কে ঠান্ডা রাখতে ফলো-আপের গুরুত্ব অপরিসীম!
    • এই প্রসেস টা হয়তো আপনার দিক থেকে ভিন্ন হতে পারে তবে এক্সাট একটা প্রসেস এটা ফলো করতে পারেন আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে কমিউনিকেশন করার ক্ষেত্রে!
    • আরেকটা লাইফহ্যাক সম্পর্কে বলি সেটা হলো! অনেক সময় আপনার ক্লায়েন্ট সমস্যা নিয়ে এসে বিভিন্ন কাজের ব্যাস্ততায় সমস্যার আপডেট দিতে ভূলে গেছে! এক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে আপনার দিক থেকে সময় করে ক্লায়েন্টদের কে ফলোয়াপ করা! এবং এটা হবে ২ বার! এবং ৩ বারের বার ক্লায়েন্ট কে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলবেন যে আমরা আপনার কাছ থেকে একটা রেস্পন্স আশা করছিলাম! হয়তো আপনার সমস্যার সমাধান হয়েছে! আমরা এই টিকেট টা ক্লোজ করছি তবে আপনি চাইলে নতুন করে আবার টিকেট তৈরি করতে পারেন আমরা আপনাকে সাহায্য করার জন্য সব সময় প্রস্তত! এই যে কাজ টা করলেন এটা আপনার দিক থেকে আপনার টিকেট ম্যানেজমেন্ট + ক্লায়েন্ট এর দিক থেকেও তারা খুশি হবে যে আপনারা ডেডিকেটেড, ক্লায়েন্টদের কে প্রাইওরিটি দিচ্ছেন! প্রাইওরিটি পাইতে কে না চাই ভাই?:grinning:
    • এই টোটাল ব্যাপার টাই আপনার অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভিতর পড়ে! আপনি একটা মাধ্যম হিসেবে ক্লায়েন্ট এবং ডেভেলপমেন্ট টিম কে এক করছেন বিভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য!

এবার আসি আপনার দায়িত্ব, আপনার রেস্পন্সিবিলিটি সম্পর্কে!

=> কমিউনিকেশন সেকশনেই ইতোমধ্যে আপনি আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে অনেকটাই জেনে গেছেন আপনার দায়িত্ব, আপনার কর্তব্য সম্পর্কে এবার আসুন আরো বিস্তারিত বিষয়গুলো নিয়ে যেখানে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করতে হবে।

  • আপনার দায়িত্ব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ক্লায়েন্টদের সমস্যার সমাধান দেওয়া যেটা নিয়ে ইতোমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন! এছাড়াও আপনার কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা যে সার্ভিস দিচ্ছেন সে ব্যাপারে ডিটেইলস ধারনা রাখা এবং ক্লায়েন্টদের কে ইনফর্ম করা।

  • প্রি-সেলস ইনকোয়েরি যেগুলো থাকবে সেগুলোর ইনফরমেশন সঠিকভাবে দেওয়া তবে এক্ষেত্রে যদি আপনার বিলিং ডিপার্টমেন্ট এর সাথে আলোচনার প্রয়োজন হয় সেটা জানিয়ে বিস্তারিত ইনফরমেশন ক্লায়েন্টদের প্রোভাইড করা।

  • আপনার কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো ক্লায়েন্ট কিভাবে সহজেই ব্যাবহার করতে পারে তার জন্য ডকুমেন্টশনে সাহায্য করা এবং বিভিন্ন রকম টিউটোরিয়াল প্রোভাইড করা। ডকুমেন্টেশন লেখা গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার এটার জন্য আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনার ধারনা ক্লিয়ার থাকা লাগবে।

  • সার্ভার সেটিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্ট অনেক সময় আপনার কোম্পানির কোন সমস্যা না থাকলেও কেবল মাত্র সার্ভারের সমস্যার কারনে বিভিন্নরকমের ক্রিটিক্যাল এররের সম্মুখীন হয়ে থাকেন ক্লায়েন্ট! সুতরাং আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট ব্যাবহার করার জন্য যদি কোন প্রি-রিকোয়ারমেন্ট থাকে তবে সেটা ক্লিয়ার করা।

  • আপনার প্রোডাক্ট ব্যাবহারে যদি কোন ডিপেন্ডেন্সি থাকে তবে সেটার ক্লিয়ার একটা ধারনা থাকা এবং ক্লায়েন্টদের কে দেওয়া।

  • সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক বড় গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়! ক্লায়েন্টদের কাছে কোম্পানির প্রেজেন্টেশন থেকে শুরু করে কোম্পানির রেপুটেশন ধরে রাখার গুরুদায়িত্ব ও কিন্তু সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারদের ই করতে হয়। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাক!

  • পজিটিভ ফিডব্যাক আপনার জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, আপনার কোম্পানির জন্য ঠিক তেমন ই! পজিটিভ ফিডব্যাক সেলস বাড়ায়! কাজের মোটিভেশন বাড়ায় এবং আপনি নিজেকে যাচায় করতে পারেন সেটার ওপরেও যে আপনি আপনার দিক থেকে কত টা সাপোর্ট দিচ্ছেন ক্লায়েন্টদের কে। যেহেতু সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার এর আরেকটা নাম হ্যাপিনেস ইঞ্জিনিয়ার সুতরাং সমস্যা সমাধান করে হ্যাপিনেস নিয়ে আসায় হবে প্রধান কাজ!

  • পজিটিভ ফিডব্যাক কখন, কিভাবে চাইতে পারেন? এক্ষেত্রে এটা ডিপেন্ড করবে ক্লায়েন্টের সমস্যার ধরনের ওপর যদি এটা বেশ ক্রিটিকাল হয়ে থাকে তবে সমাধানের পরে আপনি সুন্দরভাবে একটা ইমেইলে আপনার কোম্পানির রিভিউ দেওয়ার লিংক যুক্ত করে ইমেইল করতে পারেন ।

যে " তুমি যদি আমাদের সাপোর্ট নিয়ে সন্তষ্ট হয়ে থাকো তবে একটু সময় নিয়ে আমাদের কে একটা ৫* পজিটিভ ফিডব্যাক দিতে পারো, তোমার ফিডব্যাক আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের কাজের মোটিভেশন ধরে রাখতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সাপোর্ট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করবে" আরো সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারেন।

তবে এক্ষেত্রে সবাই যে আপনাকে ফিডব্যাক দিবে ব্যাপার টা এমন না অনেক ক্লায়েন্ট রিপ্লেতেই সুন্দর কথা বলে, অনেকেই ফিডব্যাক দেই! তবে প্রথম অবস্থায় যদি ফিডব্যাক না দেই এক্ষেত্রেও ফলোআপ দিতে পারেন তবে সেটার ধরন হবে আপনি চেক করছেন ক্লায়েন্টের দিকে সব কিছু ঠিক আছে কি না, আর কোন সমস্যা ফেইস করছে কি না।

  • মোটামুটি আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হলেন, এছাড়াও আপনার কোম্পানির কাজের ওপর নির্ভর করবে আপনাকে আর কোন দায়িত্ব দেবে কি না।

এবার আসেন WordPress Support Engineer হয়ে আপনার কি, কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

=> প্রথম সুবিধা হলো আপনি রিমোটলি এই জব টা করতে পারবেন! তবে এখানে একটা ব্যাপার রয়েছে সেটা হলো যারা বিগিনার হিসেবে রিমোট জব করাটা একটু কঠিন! সব কিছু ঠিক ভাবে বুঝে কাজ করতে + অফিস এনভাইরনমেন্ট বুঝে কাজ করতে একটু সমস্যা হয়ে যায়! তাই প্রথম অবস্থায় ডেস্ক জব টা করা ক্যারিয়ার + বিগিনারদের জন্য ভালো।

  • এছাড়াও সুবিধার দিক দিয়ে আপনি যদি ডেভেলপমেন্ট ভালোবাসেন কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে ডেভেলপমেন্ট না পেরে থাকেন কিংবা প্রোডাকশন লেভেলের কাজ করতে চান কিন্তু সেই অনুযায়ী সুযোগ + কাজের এনভাইরনমেন্ট পাচ্ছেন না এক্ষেত্রে আপনি সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জবে ঢুকে ১ বছরের মধ্যেই আপনি Development End এ কাজ শুরু করতে পারবেন।

এ কাজে কি কি অসুবিধা ফেইস করতে হতে পারে আপনাকে!

=> প্রথমেই একটা ব্যাপার সেটা হলো আপনি যদি ইংরেজি কম জানেন কিংবা কাজ গুলো বুঝে না উঠতে পারেন তাহলে বেশ ঝামেলা হবে, কারন সঠিকভাবে রিপ্লে না করতে পারলে ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন খারাপ হবে এবং পরবর্তীতে ব্যাড ফিডব্যাক আপনার কাজে + কাজের মোটিভেশন হারিয়ে ফেলবেন।

=> রিমোট জবের কয়েকটি অসুবিধার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইলেক্ট্রিসিটি, + ইন্টারনেট। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা মেইনটেইন করে কাজ করা টা একটু টাফ!
এছাড়াও কাজের টাইমজোন টা ভিন্ন হতে পারে সুতরাং এটা মাথায় রাখা টা গুরুত্বপূর্ণ!

জব অপুরচুনিটি কেমন?

=> বর্তমানে WordPress Support Engineer এই রোলের চাহিদা International + Local দুই যায়গাতেই বেশ চাহিদা রয়েছে!

প্রথমেই বলেছি Worldwide 40% websites তৈরি WordPress এ সুতরাং এই জবের অপুরচুনিটি তৈরি হচ্ছে অনেক! সুতরাং নিজেকে প্রস্তুত করেন! :grinning:

- এই রোল দিয়ে কি ফ্রি-ল্যান্সিং করা যায়?

জ্বী, এই রোল দিয়ে আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ফ্রি-ল্যান্সিং করতে পারবেন। ম্যালওয়্যার রিমুভাল + এরর রিসলভের প্রচুর কাজ ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে কাজ পোস্ট হয়! সুতরাং আপনি যদি এই ফিল্ডে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই ফিল্ডে সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

সুতরাং দেরি কেন? আজই শুরু করে দিন, সেট করুন আপনার Desired Goal!

Best of luck would be the Support Engineer!:grinning:

24 Likes

আলহামদুলিল্লাহ! আজ সকাল থেকেই রাসেল ভাইয়ার WordPress Support/Happiness Engineer ফ্রি কোর্সটা শেখা শুরু করলাম।

3 Likes

Staging Website ব্যাপারটা বুঝলাম না।

পসিবলি আপনার নিজের লোকাল ইনভাইরনমেন্টে হোস্ট করা ওয়েবসাইট

জব শুরু করার আগে থেকেই অনেক কিছু ক্লিয়ার হয়ে গেল অনেক অনেক ধন্যবাদ

1 Like

Ata muloto apnar live site er clone!
akta subdomain ba apnar onno akta domain a host kore test korar jnno!

amr live site er naki client er live site er clone amr jekono subdomain e ? tarpor testing kore check kore sob thik thakle client er site e apply kora?

First client ayr live site ayr Backup niey apnar kono akta domain or subdomain ay same backup ta upload kory solve korar try kora.

Solve hoyey gyly apnar client ky screenshot ba video kory kibavy solve korycyn ta bojano.

@Rakibul_islam Nice post vai. :+1:

1 Like