নিজের নফসের কুমন্তনা থেকে বাঁচুন!

আপনি একা নন, এবং আপনার অনুভূতিগুলি প্রাকৃতিক। ইসলামিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা বজায় রাখতে এই বিষয়টি মোকাবিলা করার কিছু উপায় এখানে তুলে ধরা হলো:

১. নামাজ এবং দোয়ার মাধ্যমে শক্তি লাভ করুন:
নিয়মিত নামাজ পড়া এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করার মাধ্যমে আপনার মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আপনার অন্তরে শান্তি আনবে।

২. রোজা রাখা:
পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত হয়েছে যে রোজা রাখা মানুষের খারাপ চিন্তা এবং ইচ্ছাগুলি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় রোজা রাখতে পারেন।

৩. সবসময় ব্যস্ত রাখুন:
নিজেকে ব্যস্ত রাখতে বিভিন্ন ফলপ্রসূ কাজ করতে পারেন, যেমন:

  • নতুন কিছু শেখা।
  • শরীরচর্চা করা।
  • কাজ বা পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়া।

৪. প্রলুব্ধকারী বিষয় থেকে দূরে থাকুন:
যে বিষয় বা পরিবেশ আপনার অনুভূতি তীব্র করে তোলে, তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

৫. নৈতিক কৌশল গঠন:
নিজের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য স্থির করুন এবং সেই অনুযায়ী এগিয়ে যান। এটি আপনার ফোকাস বাড়াবে এবং আপনার জীবনকে আরও সংগঠিত করবে।

৬. সমর্থন খুঁজুন:
একজন বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা ইসলামিক পন্ডিতের সাথে কথা বলতে পারেন। তাঁদের পরামর্শ আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

যদি কখনো পরিস্থিতি অতিরিক্ত কঠিন মনে হয়, আপনি একজন ধর্মীয় বা মানসিক পরামর্শদাতার সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন, আল্লাহ সবসময় আপনার পাশে আছেন। আপনি ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেলে, নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন।

আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে কোরআনের নির্দেশনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কুরআনের কিছু আয়াত এবং অর্থ রয়েছে, যা আপনার মধ্যে ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে:

১. ধৈর্যের গুরুত্ব

  • আল-বাকারা (২:১৫৩):
    “হে মুমিনগণ! ধৈর্য এবং সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।”

এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে ধৈর্যের মাধ্যমে আমরা আমাদের অন্তরের কষ্টকে সহজ করতে পারি এবং আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইতে পারি।

২. নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করুন

  • আশ-শু’রা (৭৯:৪০-৪১):
    “আর যারা তাদের প্রবৃত্তিকে দমন করে এবং মন্দ কাজ থেকে নিজেদের দূরে রাখে, তাদের জন্যই জান্নাত অপেক্ষা করছে।”

এটি ইঙ্গিত করে যে নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা একটি বড় ঈমানের অংশ এবং এর প্রতিদান জান্নাতে পাওয়া যাবে।


৩. পবিত্রতা বজায় রাখা

  • আল-মুমিনুন (২৩:৫-৬):
    “আর তারা, যারা তাদের লজ্জাস্থান রক্ষা করে; তবে তাদের জন্য বৈধ যা তাদের স্ত্রীদের এবং দাসীদের ক্ষেত্রে অনুমোদিত, এর বাইরে গেলে তারা সীমালঙ্ঘনকারী।”

এটি স্পষ্টভাবে আমাদের শেখায় কীভাবে নিজেদের চরিত্র এবং পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে।


৪. আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখুন

  • আত-তালাক (৬৫:৩):
    “যে আল্লাহর প্রতি ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।”

এই আয়াতটি মনে করিয়ে দেয় যে যখন আমরা অসুবিধায় থাকি, আল্লাহ আমাদের সহায়ক হন যদি আমরা ধৈর্য ধরে তার উপর নির্ভর করি।


কোরাআনের প্রতিটি আয়াত আমাকে উদ্দেশ্য করে বলছে ,হে আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন এবং আমার মুসলিম ভাইদের হেফাজত করুন। আপনি থেকে মহান হেফাজত কারী আর কে হতে পারে?

2 Likes