ধরুন, আপনি একটি সুন্দর ওয়েবসাইট বানিয়েছেন, যেখানে দারুণ একটি ফন্ট ব্যবহার করেছেন—ধরুন, গুগল ফন্ট। আপনি খুশি মনে ভাবছেন, “ওয়েবসাইট দারুণ দেখাচ্ছে, আমার কাজ শেষ!” কিন্তু হঠাৎ একদিন ইউরোপ থেকে একটি বড় চিঠি এলো, যেখানে লেখা, “আপনার ওয়েবসাইট GDPR কমপ্লায়েন্ট না হলে বড়সড় জরিমানা হবে!”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই GDPR জিনিসটি আসলে কী?
গল্পটা একটু মজার ছলেই বুঝি:
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন একদিন ঠিক করল, “আমাদের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে। যে আমাদের নাগরিকদের ডেটা নিয়ে না জানিয়ে খেলা করবে, তার খবর আছে!” এ কারণেই তারা বানালো General Data Protection Regulation (GDPR)।
এখন ধরুন, আপনি গুগল ফন্ট ব্যবহার করছেন। যখনই কেউ আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকবে, তাদের ব্রাউজার সেই ফন্টটি লোড করার জন্য সরাসরি গুগলের সার্ভারে যাবে। আর তখন ইউজারের কিছু তথ্য, যেমন IP Address, তাদের ডিভাইস বা ব্রাউজারের তথ্য গুগলের কাছে পৌঁছে যাবে।
এখানে GDPR বলছে, “আপনি যদি এই ডেটা সংগ্রহ করেন, তবে ইউজারকে আগে জানাতে হবে এবং তাদের অনুমতি নিতে হবে।”
গুগল ফন্ট ব্যবহার করলে সমস্যা কী হতে পারে?
যদি আপনি ইউজারের কাছ থেকে অনুমতি না নেন এবং তাদের তথ্য গুগলের কাছে চলে যায়, তাহলে সেটি GDPR লঙ্ঘন করা হবে। আর ইউরোপিয়ান আইন ভাঙলে তারা জরিমানা করতেও দেরি করবে না।
এর সমাধান কী?
- ফন্ট লোকালি হোস্ট করুন: গুগল ফন্ট ডাউনলোড করে নিজের সার্ভারে রাখুন। তাহলে আর ইউজারের তথ্য গুগলের কাছে যাবে না।
- ইউজারের অনুমতি নিন: ওয়েবসাইটে একটি পপআপ দিয়ে ইউজারকে জানান যে আপনি গুগল ফন্ট ব্যবহার করছেন এবং তাদের ডেটা শেয়ার হতে পারে।
- ডেটা শেয়ার কমিয়ে দিন: যতটা সম্ভব ইউজারের তথ্য শেয়ার না করার ব্যবস্থা করুন।
মজার দিকটা ভাবুন:
ধরুন, আপনি যদি এসব না মানেন, তাহলে একদিন ইউরোপ থেকে চিঠি আসবে, “আপনার জরিমানা হবে ২০ মিলিয়ন ইউরো!” তখন আপনি হয়তো বসে থাকবেন আর বলবেন, “ওয়েবসাইট সাজানোর জন্য ফন্ট ব্যবহার করেছিলাম, আর এখন সেই ফন্ট-ই আমাকে দেউলিয়া বানিয়ে দিল!”
তাই বলছি, সাবধান! ইউরোপিয়ান আইন রসিকতা বোঝে না, কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই বোঝেন!