রিমোট জবের জন্য আলাদা অফিস স্পেস নেয়া প্রসঙ্গে

অ‌নেক ভাই আমাকে হোম অফিস, রিমোট জব সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। বিশেষ করে বাসায় কাজ করলে যে ঝামেলা হয় সেটা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে।

যদি ঘরে বাচ্চা না থাকে কিংবা বাচ্চা থাকলেও যদি বাচ্চার বয়স এক বছরের কম কিংবা অন্তত চার বছরের বেশি হয়, তাহলে হোম অফিস করতে পারেন। বাচ্চার বয়স যদি এক থেকে তিন বছরের মধ্যে হয় তাহলে আপনার জন্য হোম অফিস হয়তো অতটা সুন্দর হবে না যতটা আপনি আশা করবেন।

বাচ্চা থাকুক না থাকুক, কাজের রুম আলাদা করে ফেলবেন। এটার কোন এক্সেপশন নাই। আর কাজের সময়টাও মোটামুটি আলাদা করে ফেলবেন; যেন এই সময়ে আপনাকে কেউ ডিসটার্ব না করতে পারে। কারণ আপনি বাসায় আছেন দেখলে অনেকেই ধরে নিবে আপনি হয়তো এভেইলবল, মানে আপনাকে ডাকলেই পাওয়া যাবে।

সম্ভব হলে অন্য একটা ফ্লাটে, বা বাসার কাছে কোথাও আরেকটা ফ্লাটে, কিংবা কোন অফিসের একটা সাব স্পেস নিয়ে, কিংবা কো স্পেস হলেও কোথাও চলে যেতে পারেন। আপনার ক্যারিয়ারের জন্য এটা একটা ইনভেস্টমেন্ট হিসাবে চিন্তা করতে পারেন।

আমার বাসায় কাজের রুম আলাদা। বাসার কাছেই একটা অফিস স্পেসের মত করে নিয়েছি, সেটাও মোটামুটি আলাদা। এটা মোটামুটি অনেক দিন ধরেই এমন চলে এসেছে। আমার কাজের রুম আলাদা হওয়াটা অনেকের কাছেই এটা লাক্সারী মনে হলেও আমার জন্য একটা প্রয়োজন, প্রয়োজনের খাতিরেই এমনটা করা।

তারমানে এই না যে আপনি বাসায় আলাদা রুম নিতেই হবে। মানুষ সোফায় বসেও কাজ করে। আপনি যদি আপনার ফ্যামিলিকে সেভাবে বোঝাতে পারেন, তাদেরকে সেভাবে গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আলাদা রুম না, তাদেরকে আপনার পাশে বসিয়ে রেখেও কাজ করতে পারবেন।

আর কাজ করলে ভাই পুরা মনযোগ দিয়ে করতে চেষ্টা করবেন, একবার কাজে ঢুকে গেলে হয়তো পাশে বুলডোজার দিয়ে কাজ চালানো হলেও আপনার কাজ চলতে থাকবে। মনযোগ কিভাবে আরো বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করতে পারেন।

যাই হউক ভাই, রিমোট জবও একটা জব। এটা জবের মত ট্রিট করাই ভাল। একটা দায়িত্ব থাকে, একটা কর্তব্য থাকে। আপনি যদি নিজ গাফিলতির কারণে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করেন আপনারই লস।

আর হ্যা, রিমোট জবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কমিউনিকেশন। আপনার সমস্যা হলে সেটা সঠিকভাবে কমিউনিকেট করাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সমস্যা হবে, আর সেটাকে সামালও দিবেন না, টিমের মেম্বারদেরকেও জানাবেন না; আলটিমেটলি আপনার টিম ফল করবে।

4 Likes