গ্রাফিক্স ডিজাইনে স্টোরিটেলিংয়ের গুরুত্ব।
স্টোরিটেলিং ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি গুরুপ্তপূর্ণ অংশ। স্টোরিটেলিং শুধুমাত্র ডিজানই না। একটি ব্র্যান্ডের আবেগকে ভিজ্যুয়াল ফর্মে তুলে আনা। যা ভোক্তার মনোজগতে একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে যা ব্র্যান্ড এবং ভোক্তার মধ্যে একটি সংযোগ তৈরি করে।
মানুষের মস্তিষ্কে আবেগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা অনুযায়ী, কোনো তথ্য গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে ভোক্তাদের মধ্যে 22 গুণ বেশি মনে রাখার ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। গল্পের মাধ্যমে কোনো সার্ভিস দেখার সময় মানুষের মস্তিষ্ক আরও বেশি সক্রিয় থাকে, ফলে সেইটা ভালোভাবে মনে রাখে। গল্প মানুষের মস্তিষ্কে অক্সিটোসিনের উৎপাদন বাড়ায়, যা মানুষের মধ্যে বিশ্বাস এবং সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার সিমন সিনেকের মতামত অনুযায়ী ‘ব্র্যান্ডের উদ্দেশ্য এবং গল্পই মানুষকে আকর্ষণ করে’। জো পলাস বলেন, “A great story can make people care about your brand,” যা স্টোরিটেলিংয়ের প্রকৃত শক্তিকে প্রতিফলিত করে। একটি ব্র্যান্ড যখন অর্থপূর্ণ ডিজাইন করে তখন তা গ্রাহকদের মনে গেঁথে যায় এবং ব্র্যান্ডের প্রতি গভীর আস্থা তৈরি হয়।
McKinsey & Company এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, স্টোরিটেলিং কার্যকরভাবে ব্র্যান্ডের ট্রাস্ট এবং বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে।
স্টোরিটেলিং ডিজাইনে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্র্যান্ডগুলোর তেমন ফোকাস নেই। শুধু স্টোরিটেলিং বাদই দিলাম, মানসম্মত ডিজাইনেও তাদের অনাগ্রহ বেশ চোখে পরার মত।
তবে, বাংলাদেশের কিছু ব্র্যান্ড আছে স্টোরিটেলিং ডিজাইনে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো।
মা দিবসকে কেন্দ্র করে বানানো SWISH এর এই ডিজাইনটা সবার মনে নাড়া দিয়েছিলো। যদিও এই কন্সেপ্টের আদলে TVC-ও একটা বানানো হয়েছিলো।
Uploading: 464410797_122154728042271475_7689263502306705099_n.jpg…
তাই বর্তমানের প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে সফল হতে চাইলে প্রতিটি ব্র্যান্ডের উচিত স্টোরিটেলিং কৌশলকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।