গিটের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডের তালিকা ও উদাহরণ বাংলায় লিখালাম, যা আপনাকে গিট নিয়ে কাজ করতে সাহায্য করবে:

১. প্রাথমিক ইনিশিয়ালাইজেশন

:small_blue_diamond: git init

নতুন একটি গিট রিপোজিটরি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত প্রোজেক্টটি গিট দ্বারা ট্র্যাক করা শুরু করে।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git init

এই কমান্ডটি দেওয়ার পরে, আপনার প্রোজেক্ট ফোল্ডারটি একটি নতুন গিট রিপোজিটরিতে রূপান্তরিত হবে এবং গিট এর মাধ্যমে ফাইল পরিবর্তন ট্র্যাক হবে।


২. ক্লোনিং এবং রিমোট রিপোজিটরি

:small_blue_diamond: git clone <repository-url>

এই কমান্ডটি ব্যবহার করে আপনি কোনো বিদ্যমান গিট রিপোজিটরি (যেমন GitHub) লোকাল মেশিনে ক্লোন করতে পারেন।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git clone https://github.com/user/repository.git

এটি রিমোট রিপোজিটরি থেকে সব ফাইল এবং ইতিহাস লোকাল মেশিনে ডাউনলোড করে আনে।

:small_blue_diamond: git remote add origin <repository-url>

লোকাল রিপোজিটরিতে রিমোট রিপোজিটরি যুক্ত করার জন্য ব্যবহার হয়। এটি লোকাল প্রোজেক্টকে রিমোট সার্ভারের সাথে সংযুক্ত করে।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git remote add origin https://github.com/user/repository.git

এর মাধ্যমে লোকাল প্রোজেক্ট GitHub বা অন্য কোনো রিমোট রিপোজিটরির সাথে সংযুক্ত হয়।


৩. স্টেজিং এবং কমিট

:small_blue_diamond: git add .

এই কমান্ডটি সব পরিবর্তিত ফাইলকে স্টেজিং এরিয়াতে যুক্ত করে।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git add .

এটি সকল পরিবর্তিত ফাইল গুলোকে স্টেজ করবে।

:small_blue_diamond: git add <file-name>

একটি নির্দিষ্ট ফাইলকে স্টেজিং এরিয়াতে যোগ করতে ব্যবহার হয়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git add index.html

এটি শুধুমাত্র index.html ফাইলটিকে স্টেজ করবে।

:small_blue_diamond: git commit -m "commit message"

স্টেজ করা ফাইলগুলোকে লোকাল রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে এই কমান্ডটি ব্যবহার হয়। প্রতিটি কমিটের একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা থাকা প্রয়োজন।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git commit -m "Added new features"

এই কমান্ডটি ফাইল গুলোকে কমিট করে এবং সংরক্ষণ করে।


৪. ব্রাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট

:small_blue_diamond: git branch

এই কমান্ডটি গিটের সকল ব্রাঞ্চের তালিকা দেখায়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git branch

:small_blue_diamond: git branch <branch-name>

নতুন ব্রাঞ্চ তৈরি করতে এই কমান্ডটি ব্যবহার করা হয়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git branch feature-login

এটি feature-login নামে একটি নতুন ব্রাঞ্চ তৈরি করবে।

:small_blue_diamond: git checkout <branch-name>

একটি নির্দিষ্ট ব্রাঞ্চে কাজ করার জন্য সেখানে স্যুইচ করতে এই কমান্ডটি ব্যবহার হয়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git checkout feature-login

৫. পুশ এবং ফেচিং

:small_blue_diamond: git push origin <branch-name>

লোকাল ব্রাঞ্চের কাজ রিমোট রিপোজিটরিতে পুশ করতে ব্যবহার হয়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git push origin master

এটি লোকাল master ব্রাঞ্চের কাজ রিমোট রিপোজিটরিতে আপলোড করবে।


৬. মার্জ এবং রিবেস

:small_blue_diamond: git merge <branch-name>

একটি নির্দিষ্ট ব্রাঞ্চকে আপনার বর্তমান ব্রাঞ্চের সাথে মার্জ করতে এই কমান্ডটি ব্যবহার হয়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git merge feature-login

এটি feature-login ব্রাঞ্চের কাজকে বর্তমান ব্রাঞ্চে একত্রিত করবে।


৭. রিসেট এবং রিভার্ট

:small_blue_diamond: git reset --soft <commit-hash>

নির্দিষ্ট কমিট পর্যন্ত ফিরে যেতে এবং স্টেজ করা পরিবর্তনগুলো রাখা হয়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git reset --soft 1a2b3c4

:small_blue_diamond: git reset --hard <commit-hash>

এই কমান্ডটি ব্যবহার করলে সব পরিবর্তন মুছে যাবে এবং নির্দিষ্ট কমিট পর্যন্ত ফিরে আসা যাবে।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git reset --hard 1a2b3c4

৮. স্ট্যাশ

:small_blue_diamond: git stash

বর্তমান কাজের পরিবর্তনগুলো সরিয়ে রাখা যাতে পরে আবার ফিরে আসা যায়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git stash

এটি স্ট্যাশ করে রাখবে এবং কাজের পরিবর্তনগুলো পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

:small_blue_diamond: git stash pop

স্ট্যাশ করা কাজগুলো পুনরায় ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার হয়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git stash pop

৯. লগ এবং ইতিহাস দেখা

:small_blue_diamond: git log

সব কমিটের বিস্তারিত ইতিহাস দেখতে ব্যবহার হয়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git log

:small_blue_diamond: git log --oneline

এই কমান্ডটি কমিট ইতিহাস সংক্ষিপ্ত আকারে দেখায়।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git log --oneline

১০. গিট স্ট্যাটাস

:small_blue_diamond: git status

এই কমান্ডটি পরিবর্তিত ফাইলের তালিকা দেখায়, যেগুলো স্টেজিং এরিয়াতে যুক্ত হয়নি।

উদাহরণ:

bash
Copy code
git status

এই গিট কমান্ডগুলোর মাধ্যমে আপনি গিটের কাজ আরও সহজে করতে পারবেন। উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা দেয়ায় এখন কমান্ডগুলো ভালোভাবে বোঝা যাবে।

3 Likes