সেনাবাহিনীর জাতিসংঘ মিশন নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা

ইফতেখার জামিল, একজন উদীয়মান বুদ্ধিজীবি, তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে দারুণ আইডিয়া শেয়ার করেছেন।

*জাতিসংঘ মিশন প্রসঙ্গে *

বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর জন্য শান্তিমিশন অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। তাই কেউই এই সুযোগ ছাড়তে চায় না। তবে সামরিক বাহিনীর পেছনে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করি, সেটা কি জাতিসংঘের হয়ে ফ্রিলান্সিং করার জন্য?

*ব্যক্তিগতভাবে লাভজনক হলেও সামষ্টিক অর্থনীতিতে লাভ-ক্ষতি কতটুকু, সে নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা থাকা দরকার। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী পেশাদারিত্বের দিক থেকে নিজেদের মান প্রমাণ করে চলেছে প্রতিনিয়ত। তারা এখন জাতিসংঘের ফ্রিলান্সিং নয়, নিজেরাই আফ্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। *

*কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, তার উত্তরটা সহজ। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশই বিদেশী সৈন্যদের সাহায্য প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে উপস্থিতি নিশ্চিত করলে অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিকভাবে অনেকবেশী লাভবান হবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবেও এসব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছে। তবে গবেষণা-সাহসের অভাবে আগাতে পারছে না। *

এটা ঠিক যে, জাতিসংঘের অধীনে কাজ করলে আন্তর্জাতিক চাপে পড়তে হবে না, পশ্চিমা সুনজরে থাকা যাবে। তবে ফ্রিলান্সিং আর কতদিন? বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ বৃদ্ধি করা দরকার। সংশ্লিষ্ট গবেষণা-নীতিমালা নিয়ে ভাবা দরকার। এভাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি-অর্থনীতি-গবেষণার সাথে জড়িয়ে গেলে সামরিক বাহিনীর দক্ষতা-ভূমিকা আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।

দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্বাধীন ভূমিকা রাখার প্রথম ধাপ হতে পারে এটা।

2 Likes

প্রযুক্তি দিয়ে সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশের আইটি সেক্টর অনেক সাহায্য করতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, তাদের সদিচ্ছা কতটুকু ?

আলাপ শুরু হয়েছে। গুঞ্জন থেকে অর্জন