প্রোগ্রামিং মানে আসলে কী? ChatGpt ভালো জানে!
আমরা প্রতি সপ্তাহে তিন দিন রাসেল ভাইয়ের ক্লাস করি। কখনো ভেবে দেখেছেন, তিনি কীভাবে ক্লাস পরিচালনা করেন?
ক্লাস করানোর পদ্ধতি:
প্রতি শুক্রবার রাত ১১টা বাজার আগেই—
তিনি ক্যামেরা সেট করেন।
এক কাপ চা বানিয়ে নেন।
VS Code, কোড এডিটর, ওয়ার্ডপ্রেস—সবকিছু ইনিশিয়াল সেটআপ করেন।
মাইক্রোফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম ঠিকঠাক করে নেন।
তারপর যখন ঠিক ১১টা বাজে, তিনি লাইভ ক্লাস শুরু করেন।
এখন লক্ষ্য করুন, শুধু ক্লাস নেওয়াই রাসেল ভাইয়ের মূল কাজ, কিন্তু এর আগে অনেক ছোট ছোট কাজ করতে হয়। প্রতিবার একই কাজ একইভাবে করার মাধ্যমে তিনি একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটাকেই বলা যায় প্রোগ্রাম।
প্রোগ্রাম কীভাবে কাজ করে?
প্রোগ্রাম আসলে অনেক ছোট ছোট কাজের সমষ্টি।
- রাসেল ভাই যদি লাইভ ক্লাস করানোর জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেন, সেটাকে “রাসেল ভাইয়ের প্রোগ্রাম” বলা যায়।
- আপনি যদি নিয়মিত একইভাবে পড়াশোনা করে, প্র্যাকটিস করে, ধাপে ধাপে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেন, সেটাও একধরনের প্রোগ্রাম।
- কম্পিউটারে যখন কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে বারবার একই কাজ করা হয়, সেটাই কম্পিউটার প্রোগ্রাম।
একটি বাস্তব উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। ধরুন, আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে একইভাবে ব্রাশ করেন, নাশতা করেন, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস বা ক্লাসে যান—এটাও একধরনের প্রোগ্রাম। কারণ, এখানে কাজগুলো নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ধারাবাহিকভাবে ঘটে।
প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য:
এটি এক বা একাধিক কাজের সমষ্টি।
একবার শিখে ফেললে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বারবার করা যায়।
শুধু মানুষ নয়, কম্পিউটারও নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বারবার কাজ করে, সেটাই প্রোগ্রামিং।
প্রতিটি প্রোগ্রামের একটি নির্দিষ্ট ক্রমধারা (sequence) থাকে, যা একবার ঠিক করে দিলে বারবার অনুসরণ করা যায়।
কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সম্পর্ক
কম্পিউটার প্রোগ্রামও একইভাবে কাজ করে। যেমন, আপনি যদি ইউটিউবে একটি ভিডিও চালান, তাহলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেকগুলো ছোট ছোট কাজ (ভিডিও লোড হওয়া, রেজোলিউশন ঠিক করা, প্লে বাটন কাজ করা) স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটে। এই পুরো প্রক্রিয়াটাই একটি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা কোডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।
শেষ কথা
এক কথায়, প্রোগ্রাম হলো পরিকল্পিত ধাপে ধাপে কাজের প্রক্রিয়া, যা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বারবার করা যায়। এটি শুধু কম্পিউটারের জন্য নয়, আমাদের দৈনন্দিন কাজেও প্রযোজ্য। একবার একটি কার্যপ্রণালী ঠিক হয়ে গেলে, সেটি অনুসরণ করলেই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।